ঘটনাটি ঘটেছিল বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার সদর ইউনিয়নের রাণীরপাড়া গ্রামে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সোনাতলা থানায় মোঃ রফিকুল ইসলাম(৪৭) নামক এক ব্যক্তি নিখোজ মর্মে একটি হারানো জিডি করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত এক বছরেও মেলেনি হারানো সেই ব্যক্তির খোজ। মিলবেই বা কিভাবে, কোন ব্যক্তিকে মেরে লাশ গুম করে মাটিতে পুতে রাখলে তার খোজ না মেলাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সে বিষয়ে তৎপর থাকবেনা, কোন রহস্য উদঘাটন হবে না এটা তো হতে পারেনা। বিভিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা, চৌকস কার্য সম্পাদনসহ দৃষ্টান্ত মূলক কার্যক্রম বরাবরই বগুড়া জেলা পুলিশ সফলতার সাথেই করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারেও জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম(বার), পুলিশ সুপার, বগুড়া স্যারের দিকনির্দেশনায় বিগত এক বছর আগে সোনাতলা থানার রানীরপাড়া গ্রামে ঘটে যাওয়া নৃশংস হ্ত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। মূলত হ্ত্যার উদ্দেশ্য ছিল, মৃত মোঃ রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর একই গ্রামের তার প্রতিবেশী মোঃ মহিদুল নামক এক ব্যক্তির সাথে পরোকিয়ার সম্পর্ক তৈরী করে । রফিক বেছে থাকা অবস্থায় তাদের পরোকিয়া প্রেমে যেমন ছিল বাধা তেমনি পারিবারিক অশান্তি কারন। তাই নিজেদের প্রেমের বন্ধন জোড়ালো করতে তাদের অভিনব পন্থাটি ছিল রফিকের নৃশংস হত্যাকান্ড। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ঘটনাটি ঘটে যাবার এক বছর পরে হলেও তদন্ত বিষয়ক কার্যক্রম কখনোই থেমে ছিল না। শিবগঞ্জ সার্কেল এএসপি জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা শুভ এবং সোনাতলা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ জাহিদ হোসেন স্যারের নিবিড় গোয়েন্দা তদারকির মাধ্যমে আজ ২৯/০৫/২০২০ খ্রিঃ সেই এক বছর আগে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশটি আাজ জেলা পুলিশ বগুড়া উদ্ধার করতে সক্ষম হলো। এই ঘটনায় হত্যাকান্ডে জডিত থাকা রফিকের স্ত্রী, ছেলে, পরকীয়া প্রেমিক এবং রফিকের স্ত্রীর ভাগনে সহ মোট চরজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা সবাই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। সবার জন্য একটি বিষয় বলে রাখি যে, কেউ কোন অপরাধ করে কোন থানা এলাকায়, কোন জেলা পর্যায়ে বা কোন বিভাগীয় পর্যায়ে নিজেকে আত্মগোপন কবে বা দেশান্তর হয়েও নিজেকে সেভ ভাববেন না। মনে রাখবেন, যদি পুলিশ মাটিতে পুতে রাখা লাশ মাস কিংবা বছর পরও উদ্ধার করতে পারে তাহলে আপনিতো মাটির উপরেই থাকবেন। তো কোনভাবেই আইনের হাতে থেকে আপনি বাচতে পারবেন না বা নিজেকে সেভ ভাবতে পারেন না।