নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়ী হইতে রাগ করে বের হওয়া কিশোরীকে গণ ধর্ষণ, দুই ধর্ষক গ্রেফতার, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান

গত ১৭-০৭-২০২০ খ্রি. সময় আনুমানিক ১৯.১০ ঘটিকায় ভিকটিম মোছাঃ সোনিয়া খাতুন (১৩) তার মায়ের উপর রাগ করে নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে তার নানার বাড়ি বড়াইগ্রাম থানাধীন মানিকপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পায়ে হেটে জোনাইল ফুলতলা নামক স্থানে পৌঁছিলে একটি ভ্যান পেয়ে সেই ভ্যানে উঠে। ভ্যানে আরো ০৪ জন যাত্রী ছিলো । ০২ জন যাত্রী তাদের বাড়ির সামনে নেমে গেলে ভ্যান চালক ভিকটিম সহ অন্য ০২ জন যাত্রী নিয়ে যেতে থাকে। একই তারিখ সময় আনুমানিক ২১.০৫ ঘটিকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের রয়না পেট্টোল পাম্পের পাশে শরিফ অয়েল মিলের সামনে পৌঁছা মাত্র ভিকটিম সোনিয়া খাতুনকে জোর পূর্বক কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ভ্যান চালক সহ তিন জন পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের মা মোছাঃ শিল্পি বেগম (৩৮) এর লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে বড়াইগ্রাম থানার মামলান নং-২৯, তাং-১৯-৭-২০২০ খ্রি., ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(৩) রুজু করা হয়। ভিকটিম কিংবা ভিকটিমের মা পুলিশের নিকট ধর্ষকদের নাম ঠিকানা বা কোন তথ্য দিতে না পারায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ তাদের ইন্টেলিজেন্স কাজে লাগিয়ে তদন্ত কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম সোনিয়া খাতুনের প্রকৃত ধর্ষক ১। মোঃ স্বপন আলী (২৫), পিতা-মোঃ দেল মাহমুদ ওরফে দেলু, ২। মোঃ শাহাদৎ হোসেন (১৯), পিতা-মোঃ ফরহাদ হোসেন, উভয় সাং-দিঘলকান্দী, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা- নাটোরদের সনাক্ত করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের ভিকটিমের সামনে উপস্থাপন করিলে ভিকটিমও তাদের সনাক্ত করে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের কৃত অপকর্মের কথা স্বীকার করে এবং তাদের বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করিলে তারা দুজনেই দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। উক্ত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার সংক্রান্তে ইং ২১-০৭-২০২০ খ্রি. সাংবাদিকদের মাঝে প্রেস ব্রিফিং করেন জনাব লিটন কুমার সাহা পিপিএম-বার, পুলিশ সুপার, নাটোর ।







সর্বশেষ সংবাদ
DIG Homepage