জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিনজন সদস্য ০৭(সাত)টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার।

১১ মার্চ, ২০২৩

জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিনজন সদস্য ০৭(সাত)টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার। ঘটনাঃ গত ইং ২৭/০১/২০২৩ তারিখে পাবনা থানাধীন দোহারপাড়া কেন্দ্রীয় জামে সামজিদের সামনে মোঃ আহম্মেদ আলী মুন্সি, পিতা-মৃতঃ জনাব আলী মুন্সি, সাং-দোহার পাড়া, থানা ও জেলাঃ পাবনার ব্যবহৃত একটি বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল, যাহার ইঞ্জিন নং-DHXCML34718, চেসিস নং-PSUA11CY6MPB90607 মোটরসাইকেলটি রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে একই তারিখ দুপুর অনুমান ০১.৪০ ঘটিকা হইতে দুপুর ০২.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত মোটরসাইলটির ঘাড় লক কৌশলে খুলিয়া চুরি করিয়া লইয়া যায়।পরবর্তীতে উক্ত চুরির ঘটনায় পাবনা সদর থানার এফআইআর নং-১১, তারিখঃ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইং ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী মহোদয়ের নির্দেশনায় পাবনা জেলাকে অপরাধ মুক্ত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম (অর্থ ও প্রশাসন) স্যারের তত্ত্বাবধায়নে এবং ওসি, ডিবি মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন এর নেতৃত্বে ইং ০৬/০৩/২০২৩ তারিখ রাতে এবং ইং ০৭/০৩/২০২৩ তারিখ ভোরে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই(নিরস্ত্র)তানভীর রহমান সহ এসআই(নিরস্ত্র) সাগর কুমার সাহা, এএসআই(নিরস্ত্র) মোঃ ইকবাল কবির সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় পাবনা জেলার সদর থানা, আতাইকুলা থানা, সুজানগর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য আসামী ১। মোঃ মনিরুল শেখ ওরফে মনির(২০), পিতাঃ মোঃ গফুর শেখ,সাং-মানিকদিয়ার,থানাঃ সুজানগর,জেলাঃ পাবনা। আসামী ২। মোঃ শাহীন আলম সুজন (২৫), পিতা-মোঃ মুছা মন্ডল, সাং-শ্রীকোল চরপাড়া,থানাঃ আতাইকুলা,জেলাঃ পাবনা। আসামী ৩। মোঃ মুরাদ প্রামানিক (৪৫), পিতাঃ মোঃ মকবুল প্রামানিক, সাং-কৈজুরী শ্রীপুর, থানাঃ আতাইকুলা,জেলাঃ পাবনাদের নিকট হইতে চুরি করা ০৭(সাত)টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা বিভিন্ন সময় পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থান হইতে উক্ত উদ্ধারকৃত চোরাই মোটরসাইকেল গুলো চুরি করেছিল।ধৃত আসামী মোঃ মনির এবং আসামী মোঃ সুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মোটরসাইকেল এর লক ভাঙ্গার অভিনব কৌশল গুগোল/ইন্টারনেট হতে শিখেছে। যেখানে মাত্র ১/২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল এর লক খুলে চুরি করা সম্ভব। চুরি করার সময় ঘটনাস্থলে তারা তিনজন অবস্থান করে তাদের মধ্যে একজন মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে অপর একজন মোটরসাইকেলের লক ভাঙ্গে এবং ফাইনালি একজন মোটরসাইকেল চালিয়ে সোজা আতাইকুলা থানাধীন শ্রীকোল বাজারে অবস্থিত মেকার সুজন এর গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল গুলোর লকসেট, কালার পরিবর্তন করে গ্রহকের কাছে ৪০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। এই গ্রুপ সাধারনত: পালসার মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল এর বর্ণনাঃ ১. ০৪(চার)টি লাল কালো রংয়ের বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল। ২. একটি লাল কালো রংয়ের ডাবল ডিস্ক বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল। ৩. একটি লাল কালো রংয়ের ডিসকাভার ১১০ সিসি মোটরসাইকেল। ৪. একটি লাল কালো রংয়ের টিভিএস মেট্রো ১০০সিসি মোটরসাইকেল । গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হইতে চোরাই সর্বমোট ০৭(সাত)টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।







সর্বশেষ সংবাদ