প্রেস ব্রিফিং

২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

গত ইং-২২/০২/২০২৫ তারিখে পাবনা থানাধীন দিলালপুর সাকিনস্থ শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মাতা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর সংক্রান্তে। গত ইং-২২/০২/২০২৫ তারিখ ভোর অনুমান ০৫:০৫ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা ০১ (এক) জন বাজি (সাদা ফুল হাতা শার্ট এবং সাদা লুঙ্গি পরিহিত) উক্ত মন্দিরের পূর্ব দিক হতে পায়ে হেঁটে এসে সরাসরি মন্দিরের প্রধান গেইটে পরপর ০৩ (তিন) টি লাথি মারলে দরজার তালাসহ হ্যাজবল খুলে যায়। তারপর উক্ত ব্যক্তি মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করে রক্ষা কালী প্রতিমা টি হাত দিয়ে টেনে উপুড় করে মাটিতে ফেলে দিয়ে দরজা দিয়ে বের হয়ে পায়ে হেঁটে চলে যায় (উক্ত মন্দিরের দক্ষিণ পাশে বিল্ডিং এ থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় প্রাপ্ত)। এতে রক্ষা কালী প্রতিমার ডান দুইটি হাতের মোট ০৫ (পাঁচ) টি আঙুল ভেঙ্গে যায় এবং সঙ্গে থাকা যোগিনি প্রতিমার বাম হাতের কব্জিসহ ০৫ (পাঁচ) টি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। সংবাদ প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে পাবনা থানা পুলিশসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্তে পাবনা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং- ৪০, তারিখ-২২/০১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ২৯৫/২৯৭ পেনাল কোড, ১৮৬০। একইভাবে ইং ২৩/০২/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় উক্ত আসামী পুনরায় বর্ণিত মন্দিরে এসে পূর্বের ন্যায় একইভাবে ভাংচুর করে। ঘটনার বিষয়বস্তু বিশ্লেষন করে পাবনা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম উক্ত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত একমাত্র আসামী মোঃ জাহিদ হাসান খাঁন হ্যাপি (৪০), পিতা- আব্দুর রহিম খাঁন, সাং-কাঁলাচাঁদপাড়া, থানা ও জেলা- পাবনা'কে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করেন। আসামীর পূর্ববর্তী স্বভাব-চরিত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, সে একজন মাদকসেবী এবং মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে গত ২৩/০২/২০২০, ০১/০৮/২০২১ এবং ১৪/০৫/২০২২ খ্রিঃ তারিখে ভর্তিপূর্বক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য উপস্থাপন করলে অভিযুক্ত আসামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের বিষয়টি নাকচ করে দেন।







সর্বশেষ সংবাদ