মোহনপুরে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফী মামলার ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।

১৯ এপ্রিল, ২০২০

মোহনপুর থানাধীন গোয়ালপাড়া গ্রামস্থ মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মেয়ে মোসাঃ লিজা ফেরদৌস (২০) কে আসামী ১। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫) পিতা- মোঃ ময়েজ উদ্দিন, সাং- হরিদাগাছি বাড়ইপাড়া, থানা- মোহনপুর, জেলা- রাজশাহী এর সহিত ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের কারনে উক্ত আসামী ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ডেকে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত মেলামেশা করিত। গত ১৮/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের বাবা-মা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে উপরোক্ত আসামী ভিকটিমের বাড়ীতে গিয়া উক্ত তারিখে সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিমদের বাড়ীর উত্তর ভিটার দক্ষিন দুয়ারী বাদীনির শয়ন ঘরের খাটের উপর শুয়াইয়া তার পড়নের সালোয়ার ও কামিজ খুলিয়া আসামী আশরাফুল ইসলাম ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে এবং সুকৌশলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বাদীনির নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি ধারণ করিয়া কিছুদিন পরে বাদীনিকে বিবাহ করিবে বলিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে উপরোক্ত আসামী আশরাফুল ইসলাম ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কাজের জন্য প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম আসামীর প্রস্তাবে রাজি না হইলে উপরোক্ত আসামী ভিকটিমের নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবিগুলি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ছড়িয়া দিয়া ভিকটিমের সম্মানহানী ঘটাইবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে মোহনপুর থানার মামলা নং-১১ তাং-১৭/০৪/২০২০ খ্রিঃ ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) তৎসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৮ (১)(২) রুজু করা হয়।   পরবর্তীতে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব সুমন দেব এবং অফিসার ইনচার্জ মোহনপুর থানা মোস্তাক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে ১। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫) পিতা- মোঃ ময়েজ উদ্দিন, সাং- হরিদাগাছি বাড়ইপাড়া, থানা- মোহনপুর, জেলা- রাজশাহীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।







সর্বশেষ সংবাদ