আতাইকুলা থানায় ছেলে কর্তৃক পিতা হত্যার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেফতার।

আতাইকুলা থানায় ছেলে কর্তৃক পিতা হত্যার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেফতার। বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান। বাদী মোঃ আব্দুল আওয়াল (৬৫) পিতা-মৃত ইমারত প্রামানিক, সাং-হরিপুর (মধ্যপাড়া), থানা-আতাইকুলা, জেলা-পাবনা থানায় এসে আসামী ১। মোঃ আব্দুর রহিম (৪৩) পিতা- মৃত আহেজ প্রামানিক, সাং-রতনপুর ঈদগাহ মাঠপাড়া, থানা-আতাইকুলা, জেলা-পাবনা এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, বাদীর ভাই মৃত আহেজ প্রামানিক (৭০) পিতা-মৃত ইমারত প্রামানিক, সাং-রতনপুর ঈদগাহ মাঠপাড়া, থানা-আতাইকুলা, জেলা-পাবনা এর নিকট থেকে মৃত আহেজ এর ছেলে আসামী মোঃ আব্দুর রহিম ৬,৫০০/- টাকা ধার নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধারের টাকা পরিশোধ না করায় বাদীর ভাই মৃত আহেজ প্রামানিক বাদীকে সহ বাদীর ভাই কেরামত আলী, আব্দুস সালাম, মোঃ আলাম প্রামানিকদের জানায়। তাহারা ইং ২২/০৪/২০২১ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় উক্ত বিষয়টি আসামী মোঃ আব্দুর রহিমকে জানাইলে, তার সহিত মৃত আহেজ প্রামানিক সহ বাদীর অন্যান্য ভাইদের তর্কবির্তক হয়। এই ঘটনার জের ধরে ইং ২২/০৪/২০২১ তারিখ রাত্রী অনুমান ০৯:৩০ ঘটিকার সময় আসামী মোঃ আব্দুর রহিম হাতে বাঁশের খাইটা নিয়ে মৃত আহেজ প্রামানিক এর বসত বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের খাইটা দ্বারা মৃত আহেজ প্রামানিক এর মাথার বাম পার্শ্বে ও পিছনে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদীর তার ভাই মৃত আহেজ প্রামানিককে বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করে। উক্ত মৃত আহেজ প্রামানিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ইং ২৩/০৪/২০২১ তারিখ রাত্রী অনুমান ২:০০ ঘটিকার সময় পথিমধ্যে সে মৃত্যু বরণ করে। উক্ত ঘটনায় বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে আতাইকুলা থানার মামলা নং ০৮/৪৪ তাং-২৩/০৪/২০২১ ধারা-৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সা্রকেল জনাব রোকনুজ্জামান সরকার এর নির্দেশনায় অদ্য ০৮/০৫/২০২১ তারিখ এজাহার নামীয় আসামী মোঃ আব্দুর রহিম (৪৩) পিতা-মৃত আহেজ প্রামানিক, সাং-রতনপুর ঈদগাহ মাঠপাড়া, থানা-আতাইকুলা, জেলা-পাবনাকে বিশেষ অভিযান করে আতাইকুলা থানার একটি টিম ঢাকা থেকে গ্রেফাতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। উক্ত আসামী নিজে নিজের পিতাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।







সর্বশেষ সংবাদ
DIG Homepage